নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজারের চকরিয়া এলাকার আলোচিত মঞ্জুর আলম হত্যা মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী জসিম উদ্দিনকে দীর্ঘ ১০ বছর পর ধরলো র্যাব-৭।
রবিবার (১৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে তাকে আটক করা হয়
র্যাব ৭ এর সিনিয়র সহকারী মিডিয়া পরিচালক মোঃ নুরুল আবছার বলেন, মামলার বাদী এবং উক্ত ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হতে জানা যায় যে, ঘটনার পূর্বে নিহত ভিকটিম মঞ্জুর আলমের ভাগিনা- নাজ (৩২) তার বোনের বাসায় যাওয়ার পথে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এলাকায় পৌঁছা মাত্র পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উৎ পেতে থাকা আসামী জসিম উদ্দিন তার কতিপয় সহযোগীসহ মঞ্জুর আলমের ভাগিনা নাজুকে কৌশলে মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং মোটর সাইকেল সহ নগদ টাকা-পয়সা জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। বিষয়টি নাজু তার মামা মঞ্জুর আলমকে জানালে মঞ্জুর আলম বাদী হয়ে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। গত ১০ অক্টোবর ২০১৩ ইং তারিখে ভিকটিম মঞ্জুর আলমের মামলার বাদী হওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে উল্লেখিত আসামীগণের সাথে মঞ্জুর আলমের কথা কাটাকাটি হয়। ঐদিন দুপুর আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় মঞ্জুর আলম চকরিয়ার দত্ত বাজার এলাকায় পৌঁছলে আসামী জসিম উদ্দিন এবং তার সহযোগীরা রামদা, কিরিচ, চাপাতি, দা, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মঞ্জুর আলমকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আসামী জসিম উদ্দিন তার হাতে থাকা লম্বা কিরিচ দিয়ে অন্যান্য আসামীদের সহযোগিতায় ভিকটিম মঞ্জুর আলম (৪২) এর দুই হাত-পা কেটে ফেলে বালুর চরে ফেলে সেখান থেকে চলে যায়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় মঞ্জুর আলমকে স্থানীয় লোকজন এবং তার আত্মীয় স্বজন নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। পরবর্তীতে এ প্রেক্ষিতে কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ে করা হয় যার মামলা নং-৩১(১০)১৩, ধারা ৩২৩/৩০২/১১৪/৫০৬/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০।
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সূত্রে জানতে পারেন যে, বর্ণিত হত্যা মামলার দীর্ঘ ১০ বছর যাবত গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী জসিম উদ্দিন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানাধীন বতুয়া বাজার এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল গত ১৮ মার্চ রাত সাড়ে ৭টার দিকে বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী জসিম উদ্দিন (৬০), পিতা-মৃত আহামদ কবির, সাং-বেতুয়া বাজার, থানা- চকরিয়া, জেলা- কক্সবাজারকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটক কৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে সে বর্ণিত হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী মর্মে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।